১ম প্রশ্ন জলছাদ কি?
২য় প্রশ্ন জলছাদ কেন দওয়া হয়?৩য় প্রশ্ন জলছাদের উপকরন গুলি কিকি?
৪র্থ প্রশ্ন জলছাদ করার প্রক্রিয়া কি?
৫ম প্রশ্ন প্রতি ঘনফুটে কি পরিমান মালামাল লাগে?
১ম প্রশ্নের উত্তর:-
জলছাদ হলো এক প্রকার ছাদ
টপ ছাদের উপর অতিরিক্ত একটা ছাদ ঢালায় দেওয়া হয় তাকে জলছাদ বলে
২য় প্রশ্নের উত্তর:-
এটির প্রধান কাজ হলো টপ ছাদকে ঠান্ডা রাখা, আর স্লোপের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন করা, আরও টপ ছাদ দিয়ে পানি ছোক করলে তা প্রতিরোধ করার জন্য ইত্যাদি।
৩য় প্রশ্নের উত্তর:-
ইহার প্রধান উপকরন হল চুন সুরকী খোয়া, তবে আরও কিছু জিনিস ব্যবহার হয় যেমন, তেতুল, চিটাগুড়, রসুন, খয়ের ইত্যাদি
৪র্থ প্রশ্নের উত্তর:-
প্রথমে চুন ফোটানো হয় তারপর চুন চালতে হয়, তারপর প্রথমে খোয়া ছাদে সমান ভাবে বিছানো হয়, তার উপর সুড়কী ও সমান ভাবে বিছানো হয়, এবং তার উপর চুন ও সমান ভাবে বিছানো হয়
তারপর ভাল ভাবে মিশাতে হবে শুকনা অবস্থায় তিনটি কাটা দিতে হয়।
এর পর পানি দিয়ে মিশান হয়, এই মাল প্রতিদিন তেতুল ও চিটাগুড় ও রসুন ভেজানো পানি দিয়ে কাটতে হয় বা মিশানো হয়, ৭ থেকে ৮ টা কাটা দিতে হয় যেন মালটা ভালভাবে পচে মাল রেডি হলে ছাদে বিছানো হয়।
এখানে ঢালায়ের আগে স্লোপ হল প্রথম দেখার বিষয়, ভাল করে স্লোপ মেনটেন করে ঢালায় শেষ করতে হবে,
ছাদ শেষ হলে হালট ঢালায় কয়েক দিন পরে দিতে হয়।
এর পর কয়েক দিন পর ছাদ একটু শক্ত হলে পিটানো শুরু করতে হয় ভাল ভাবে পিটানোর পর সিমেন্ট, চুন মিলায়ে তালের ব্রাস দিয়ে ফিনিশিং দেওয়া হয়।
৫ম প্রশ্নের উত্তর:
২৫০০ বর্গফুট ছাদ
জলছাদের পুরুত্ব = ৪"
অনুপাত ২:২:৭
ঢালায়ের পরিমান
= {২৫০০x(৪"÷১২)}
= ৮৩৩.৩৩ ঘনফুট
এখন আমরা জানি
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে চুন লাগে ১২.৫০ মন
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে চিটাগুড় লাগে ০.৭৫ টিন
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে তেতুল লাগে ১.৫০ কেজি
১০০ ঘনফুট ঢালায়ে রসুন লাগে ০.৫০ কেজি
এই হিসাব গুলি বাস্তবে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া
ভেজা মসলা = ৮৩৩.৩৩ ঘনফুট
শুকনা মসলা = ৮৩৩.৩৩x১.৫০
= ১২৫০.০০ ঘনফুট
অনুপাত ২:২:৭
অনুপাতের যোগফল (২+২+৭)= ১১
চুন = ১২৫০x২÷১১= ২২৭.২৭ ঘনফুট
সুরকী = ১২৫০x২÷১১= ২২৭.২৭ ঘনফুট
খোয়া = ১২৫০x৭÷১১ = ৭৯৫.৪৫ ঘনফুট
চিটাগুড় = ১২৫০÷১০০x০.৭৫
= ৯.৩৭৫ ~ ১০ টিন
তেতুল = ১২৫০÷১০০x১.৫০
=১৮.৭৫~১৯ কেজি
রসুন = ১২৫০÷১০০x০.৫০
= ৬.২৫ ~ ৭ কেজি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন